শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১০

ইসলাম কি আরব কেন্দ্রিক...?





বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


(প্রথমেই বলে রাখি যে আমি এখানে শুধু মাত্র আমার জ্ঞ্যান যেটুকু আমি জানি তাই সবার সাথে ভাগাভাগি করতেচাচ্ছি যদি এখানে কোন ভুল ধরা পড়ে, তবে দয়া করে সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি এবং বন্ধুসুলভ আচরনের মাধ্যমে তা শুধরানোর চেষ্টাকরাই ভালো হবে দয়া করে কেউ জটিলতা সৃষ্টি করবেন না)

বেশীরভাগ সময়ই যখন আমরা কোন ইসলামী কাহিনী শুনি, সেটা দেখি আরব বা তার আশপাশের নগর থেকেআসছে কিন্তু ইসলাম কোন জাতিগত ধর্মতো নয় তাহলে কেন শুধু আরবদের কাহিনী আমাদের শুনতে হয়? স্বভাবতইএধরনের প্রশ্ন আসতে পারে তাদের মনে যারা সব ক্ষেত্রে খুত খোজার চেষ্টা করে বা যারা সত্যিকার অর্থেই কিছু জানার আগ্রহরাখে

তবে আমি যতদুর দেখেছি এবং বুঝেছি, তাতে আমার ধারনাগুলো হল-

আরব দেশটা পৃথিবীর মানচিত্রে মাঝখানের দিকে অবস্থিত আর পবিত্র কাবা ঘর এই পৃথিবী নামক গ্রহের ঠিকমধ্যবর্তী একটা অবস্থানে স্থাপিত

যখন আদম হাওয়া () কে বেহেশত থেকে পৃথিবীতে প্রেরন করা হয়, তাদেরকে কে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পাঠানোহয় আমি গল্প শুনেছি যে, আদমকে () সাগরে ফেলা হয়েছিল এবং হাওয়াকে () পাঠানো হয়েছিলো জমিনে যা বর্তমানেআফ্রিকা হিসেবে পরিচিত আমি আরও শুনেছি যে আদম ছিল শ্বেতাঙ্গ এবং হাওয়া ছিল কৃষাঙ্গ এখানে আরও উল্লেখ্য যেতখন পৃথিবীর জমিন একসাথে ছিল অর্থাৎ বিভিন্ন মহাদেশের বিভাজন ছিলনা

এই অবস্থায় যখন আদম এবং হাওয়া () আল্লাহর কাছে নিজেদের জন্য ক্ষমা চাইতে থাকে তখন তারা জমিনেরকেন্দ্রের দিকে (বর্তমান আরবের দিকে) এগুতে থাকে এবং বহু বছর পর যখন তাদের তওবা হুজুর পাক (সাঃ) এর ওছিলায়কবুল হয়, তখনই তারা একে অপরকে খুজে পায়েমন এক স্থানে যা বর্তমানে আরাফা ময়দান হিসেবে পরিচিত তারপরআরাফার পাশেই তারা পৃথিবীর প্রথম ঘর তৈরী করে যা এখন পবিত্র কাবা ঘর হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত আর এখানথেকেই ইসলামের আরব কেন্দ্রিক কাহিনী শুরু

এরপর পরবর্তী নবীগন একজনের পর একজন আসতে থাকে, এবং সবাই একটা বার্তা নিয়েই আসে, “লা- ইলাহাইল্লাল্লাহ”, তবে পাশাপাশি তারা কিছু শিক্ষা মানুষ কে দিতে থাকে যেমন, আদম () এর পর শীছ () এর সময় মানুষ কাপড়বোনা, জমি চাষ করা ইত্যাদি শিক্ষা পায় আমি কিছু রহস্য পত্রিকা এবং সেবা প্রকাশনীর অনেক সায়েন্সফিকশন পড়েছিযেখানে পেয়েছি যে প্রাথমিক যুগে যখন মানুষ কিছু জানতোনা, তখন ভিন গ্রহের প্রানীরা এসে মানুসকে অনেক কিছু শিখিয়েদিয়ে গিয়েছিল আবার আমি শীছ () কিছু ঘটনা শুনেছি যে, যখন তারা খাবার বা চাষাবাদ করতে জানতো না, তখন তারাএকদিন দেখলো যে মাঠে একদল লোক জমি চাষ করছে, কিছু মহিলা গাছের বাকল দিয়ে কাপড় তৈরী করছে ইত্যাদি তারাতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছিলো কিন্তু কারা লোকগুলা? এব্যপারে কোন হদিস আমি পাইনি, আল্লাহ আর তার প্রিয়বান্দারাই ভাল জানেন

মানুষ বংশ বিস্তার করতে করতে জমিনে ছড়িয়ে পড়তে থাকে, এবং ব্যবিলনে মানব সভ্যতার তৃতীয় নবী ইদ্রীস () আসেন, তার সময় মানুষের লেখা পড়ার শিক্ষা শুরু হয়, মনে হয় ব্যবিলনই প্রথম লেখালেখির প্রচলন শুরু হয় ইদ্রিস () তার অনুসারীদের নিয়ে ব্যবিলন থেকে মিশর চলে আসেন, অর্থাৎ আরেক আরব এলাকা

এরপর নূহ () আসেন এবং তার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে যুগান্তকারী একটা বস্তু উপহার দেন- নৌকা নূহেরনৌকাই পৃথিবীর প্রথম নৌকা এবং বন্যা শেষ হওয়ার পর নূহ () এর নৌকা বর্তমান তুরস্কের এক পাহাড়ে গিয়ে আটকায়যার নিশানা এখনও তুরস্কে আছে তুরস্ক আরেকটি আরব দেশ এর পর নুহ () এক বংশধর ভারতের দিকে চলে আসে যারইতিহাস খুবই অস্পষ্ট (আমার কাছে) তবে লোক জনের ভীড় থাকে আরব কে কেন্দ্র করেই যদিও নূহ এর বন্যার পর বহুবছর কাবা ঘর মাটির নীচে চাপা পড়ে থাকে এবং মক্কা নগরী থাকে জনশুন্য কিন্তু মক্কার চারপাশে জনবস্তি গড়ে উঠেছিলবহুত আর তারপর ইব্রাহীম () ঈসমাইল () এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মক্কা কে আবার জনবহুল করে তুলেন


ঈসমাইল () এবং মক্কা পুনরুত্থান এর পর এই নপগরীতে আর কোন নবী আসেনি কিন্তু নবী আসা থেমে থাকেনি মিশর, তুরস্ক, এবং মক্কার আশপাশের নগরীতে হযরত মূসা মিশর থেকে জেরুজালেম চলে আসেন, এবং এখানে একাধারে দাউদ, সোলায়মান এবং সর্বশেষ ইসরায়েলী নবী ঈসা প্রেরীত হন আর তারপর সময় আসে আবার মক্কার, যেখানে একদিন সর্বপ্রথমনবী তার যাত্রা শুরু করেছিলো, সেখানেই আবার সর্বশেষ নবী (সঃ) আবির্ভুত হন

দেখা যাচ্ছে এযাবৎ সব কিছুই আরব কেন্দ্রিক হচ্ছে কিন্তু কেন? পৃথিবীতে কি আর কোন দেশে মানুষ ছিলনা? তাদেরকাছে কেন ইস্লামের নবী আসেনি? আল্লাহ কি তাদের পথা দেখানোর জন্য কাউকে পাঠাননি? আমার মতে এখানে টা উত্তরআছে-

) নবী পাঠানোর প্রক্রিয়াটা চলছিলো মানব সভ্যতার প্রাথমিক যুগে আর যখন সর্বশেষ নবী () আসেন, তখনওপৃথিবীর প্রান্তে বহুল জনবসতি গড়ে উঠেনি

) আল্লাহ যুগে যুগে বহু নবী পাঠিয়েছেন যাদের মাত্র কয়েকজনের নাম পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তুএছাড়াও যে তিনি নবী পাঠিয়েছে ( এক লক্ষেরও বেশী ) সেটা মুসলিম উলামারা স্বীকার করে এর মানে হল, কে জানে হয়তোআমাদের মাঝেও কেউ এসেছিলো অথচ আমরা টের পাইনি, সে তার কাজ করে গেছে

আমি দেখেছি হিন্দু দের প্রধান গ্রন্থ বেধ ( রামায়ন বা গীতা হিন্দুদের প্রধান গ্রন্থ কিনা আমি নিষচিত নই, তবে আমিযতদুর জানি এগুলা রচনা করা হয়েছিল মুনী ঋষীরা যারা মনরঞ্জনের মাধ্যমে মানুষকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলো) বেধ এমনঅনেক বাক্য আছে যা পবিত্র কোরআনের সাথে মিলে যায় এবং এমন অনেক বাক্য আছে যা একজন শেষ যুগে এওজন মহাঋষীর আবির্ভাবের কথা বলে যা মুহাম্মদ () এর সাথে মিলে যায় অথচ এই বেধ কোথা থেকে এসেছিলো, কে এর রচয়ীতা, এটা এওটা রহস্য যদিও বেধের ৭০ ভাগই এখন হারিয়ে গেছে কিন্তু এখনও বেধের মধ্যে অনেক রহস্য আছে যা চর্চা করলেমানুষের অনেক ভুল ভেঙ্গে যেতে পারে কিন্তু হিন্দুরা বেধ নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাতে চায়না তারা মনরঞ্জনে মননিবেশঅরেছে

তবে এটা ঠিক যে আল্লাহ কখনই কোন জাতিকে অবিভাবকহীন করে রাখেননি, সবার কাছেই তিনি তার রাসুলপাঠিয়েছেন কিন্তু শয়তানও বসে থাকেনি, সে মানুষ কে প্রতি মুহুর্তে দিকভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে আল্লাহ আমাদের মাফকরুন, এবং সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন, এবং আমাদের জান্নাতের পথে কবুল করুনআমীন

1 টি মন্তব্য:

ksabd বলেছেন...

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
asa koroi valo asen
apner shate amar kota ase
apnar mobail namberta ki daya gabe?
amar mobail holo
00966565044158
jeddah
k.s.a

eid mubark

abuanas